Monday, November 12, 2012

হয়ে যান ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ারের মাস্টার


বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় মিডিয়া প্লেয়ার হলো ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার। এটি ফ্রিওয়্যার, ওপেনসোর্স ও ক্রস-প্লাটফর্ম সফটওয়্যার। এটি আমার সবচেয়ে প্রিয় মিডিয়া প্লেয়ার। এটি আমার প্রিয় কারণ শুধুমাত্র এর ফিচার সমূহের জন্য। আপনাদেরকে আজ আমি এই ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ারেরই কয়েকটি ফিচারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যা হয়ত অনেকেরই অজানা।

পিজিন – দ্যা ইউনিভার্সাল চ্যাট ক্লায়েন্ট


আমি গত পোস্টে ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং ও চ্যাটিং ক্লায়েন্ট সম্পর্কে লিখেছিলাম। সেই পোস্টে আমি বলেছিলাম যে আজ pidgin নামক একটি থার্ড পার্টি চ্যাটিং ক্লায়েন্ট সম্পর্কে লিখব। তাই আজকের এই পোস্ট। পিজিন হলো একটি চ্যাটিং ক্লায়েন্ট যা দিয়ে খুব সহজে বিভিন্ন ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং সারভিসের সেবা একটি ক্লায়েন্ট দিয়েই পাবেন। অর্থাৎ আপনি একই সাথে ফেসবুক, জিমেইল, ইয়াহুর বন্ধুদের সাথে একটি মাত্র ক্লায়েন্ট ব্যাবহার করেই চ্যাটিং করতে পারবেন। এটি ওপেন সোর্স সফটওয়ার ও ফ্রিওয়্যার তো অবশ্যই। এই সফটওয়্যারটি আপনি উইন্ডোজ, লিনাক্স ও ম্যাক ওএস প্লাটফর্মে ব্যাবহার করতে পারবেন। পিজিন দিয়ে যে সকল ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং সারভিস ব্যাবহার করতে পারবেনঃ

Sunday, November 11, 2012

ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং ও চ্যাটিং ক্লায়েন্ট


ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং (Instant Messaging) কে সংক্ষেপে বলা হয় IM. এটি হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগের একটি মাধ্যম যাতে একজন সেন্ডার ও রিসিভার এর মধ্যে টেক্সট / লেখা আদান প্রদান হয়। এই লেখা আদান প্রদান কম্পিউটার টু কম্পিউটার বা কম্পিউটার টু মোবাইল বা মোবাইল টু মোবাইল এর মধ্যে হতে পারে। তবে এই Instant Messaging অব্যশ্যই একটি নেটওয়ার্কের আওতায় যেমন ইন্টারনেটের মাধ্যমে হতে হবে। এটি point-to-point পারে আবার multicast কমিউনেকেশনও হতে পারে। Point-to-point মানে হলো দুজন ব্যাক্তির মধ্যে যোগাযোগ আর multicast মানে হলো একজন সেন্ডার এর সাথে একাধিক রিসিভার। এই ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিংকে চ্যাটিং বলা হয়। এটি Instant Messaging বলার কারণ হলে যিনি সেন্ডার তার টেক্সট কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রিসিভার গ্রহণ করে থাকেন। তবে এখনকার সময় শুধু টেক্সট মেসেজিং এর মধ্যেই চ্যাটিং সিমাবদ্ধ নয়। এখন অডিও চ্যাটিং ও ভিডিও চ্যাটিংও অধিক জনপ্রিয়।

Friday, November 02, 2012

উইন্ডোজ ৮ এর জন্য শাটডাউন শর্টকাট তৈরী করুন


উইন্ডোজ ৮ শাটডাউন করার জন্য কয়েকটি পর্যায়ে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এজন্য আপনি স্টার্ট স্ক্রীনে অথবা ডেসক্টপে শাটডাউন করার জন্য শর্টকাট তৈরী করতে পারেন।
এজন্য প্রথমে আপনার ডেস্কটপের ফাকা যায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করে New > Shortcut এ ক্লিক করুন।
নিচের মতো দেখতে পারবেন।
এখানে Type the location of the item: ঘড়ে লিখুন "shutdown /s /t 0" (কোটেশন মার্ক ছাড়া এবং শেষের ক্যারেক্টারটি হলো শূণ্য, “O”/ ও নয় )।
এবার Next বাটনে ক্লিক করুন। এখানে শর্টকাট ফাইলটির নাম দিন। Shutdown দিলে ভালো হয়।
এবার Finish বাটনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার ডেস্কটপে সদ্য তৈরীকৃত শাটডাউন শর্টকাটটি ডাবল ক্লিক করলেই আপনার কম্পিউটার শাটডাউন হয়ে যাবে। একটু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য চলুন এর আইকন চেঞ্জ করি। এজন্য ফাইলটিতে রাইট বাটন ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন।
এখান থেকে Change Icon... বাটনে ক্লিক করুন। নিচের ডায়ালগ বক্স আসলে OK বাটনে ক্লিক করুন।
এবার Change Icon উইন্ডো থেকে পাওয়ার আইকন সিলেক্ট করে OK বাটনে ক্লিক করুন।
আবার OK বাটনে ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন।
এবার আপনি যদি শর্টকাট মেনুটি আপনার স্টার্ট স্ক্রীনে রাখতে চান তাহলে ফাইলটির উপর রাইট বাটন ক্লিক করে Pin to start এ ক্লিক করুন। তাহলে আপনি স্টার্ট স্ক্রিণে Shutdown ‌আইকন দেখতে পারবেন। মনে রাখবেন এটিতে একটি ক্লিক করলেই আপনার কম্পিউটার শাটডাউন হয়ে যাবে।

উইন্ডোজ ৮ এর জন্য শাটডাউন শর্টকাট তৈরী করুন


উইন্ডোজ ৮ শাটডাউন করার জন্য কয়েকটি পর্যায়ে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এজন্য আপনি স্টার্ট স্ক্রীনে অথবা ডেসক্টপে শাটডাউন করার জন্য শর্টকাট তৈরী করতে পারেন।
এজন্য প্রথমে আপনার ডেস্কটপের ফাকা যায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করে New > Shortcut এ ক্লিক করুন।
নিচের মতো দেখতে পারবেন।
এখানে Type the location of the item: ঘড়ে লিখুন "shutdown /s /t 0" (কোটেশন মার্ক ছাড়া এবং শেষের ক্যারেক্টারটি হলো শূণ্য, “O”/ ও নয় )।
এবার Next বাটনে ক্লিক করুন। এখানে শর্টকাট ফাইলটির নাম দিন। Shutdown দিলে ভালো হয়।
এবার Finish বাটনে ক্লিক করুন।
এবার আপনার ডেস্কটপে সদ্য তৈরীকৃত শাটডাউন শর্টকাটটি ডাবল ক্লিক করলেই আপনার কম্পিউটার শাটডাউন হয়ে যাবে। একটু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য চলুন এর আইকন চেঞ্জ করি। এজন্য ফাইলটিতে রাইট বাটন ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন।
এখান থেকে Change Icon... বাটনে ক্লিক করুন। নিচের ডায়ালগ বক্স আসলে OK বাটনে ক্লিক করুন।
এবার Change Icon উইন্ডো থেকে পাওয়ার আইকন সিলেক্ট করে OK বাটনে ক্লিক করুন।
আবার OK বাটনে ক্লিক করে বেরিয়ে আসুন।
এবার আপনি যদি শর্টকাট মেনুটি আপনার স্টার্ট স্ক্রীনে রাখতে চান তাহলে ফাইলটির উপর রাইট বাটন ক্লিক করে Pin to start এ ক্লিক করুন। তাহলে আপনি স্টার্ট স্ক্রিণে Shutdown ‌আইকন দেখতে পারবেন। মনে রাখবেন এটিতে একটি ক্লিক করলেই আপনার কম্পিউটার শাটডাউন হয়ে যাবে।

আপনার অফিস ডকুমেন্ট ফাইগুলো পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত করুন


আপনি যদি আপনার মাইক্রোসফট অফিস ডকুমেন্টগুলো পাসওয়ার্ড দ্বাড়া সুরক্ষিত করতে চান তাহলে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এখানে আমি মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড ২০০৭ ব্যাবহার করেছি

প্রথমে  Microsoft Office Button Button image এ ক্লিক করুন। এবার Prepare এ ক্লিক করে ডানপাশের Encrypt Document এ ক্লিক করুন।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড


Strong Password কি? সহজ কথায় হলো যা কেউ সহজে অনুমান করতে পারবে না অথবা কেউ ব্রেক করতে পারবে না। তার মানে এই শব্দগুলো কোন ডিকশনারীতে নেই অথবা এগুলো কোন কমন নাম বা শব্দ নয়। Password ব্রেক করার একটি পদ্ধতি হলো brute force attack. যা মূলত তার ডিকশনারিতে থাকা শব্দগুলো একের পর এক সার্চ করে ব্রেক করার চেষ্টা করে। এই জন্য একটি ১৪ ক্যারেকটারের পাসওয়ার্ড থেকে একটি ১৫ ক্যারেকটারের পাসওয়ার্ড ব্রেক করা ৯০ গুণ কঠিন !

আপনি হয়ত এখানে খেয়াল করে দেখবেন আমি লিখেছি ক্যারেকটার(character), অক্ষর (letter) নয়। এর কারণ হলো একটি ভালো পাসওয়ার্ড অবশ্যই বিভিন্ন ক্যারেকটার সমন্বিত হবে যেমন Number, ছোট হাতের অক্ষর , বড় হাতের অক্ষর। আপনি যে ওয়েবসাইটে পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন তা যদি স্পেশাল ক্যারেক্টার (যেমনঃ *,!,$,#, ইত্যাদি) গুলো ব্যাবহার করার অনুমতি দেয় তাহলে স্পেশাল ক্যারেক্টার ও পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যাবহার করা হবে নিরাপদ।

ভালো পাসওয়ার্ড এর উদাহরণঃ ধরুন আপনার নাম Rahim Sarkar. আপনি মনে রাখার সুবিধার্তে এটিকে উল্টোদিক দিয়ে লিখতে পারেন rakrasmihar । এটিকে আরও শক্তিশালী করা যায় এর শেষে আপনার জন্মসাল বা প্রিয় নম্বর যুক্ত করে। ধরুণ আপনার জন্মসাল হলো 1983। তাহলে আপনার পাসওয়ার্ড এখন হলো rakrasmihar1983 । এটিকে আরও শক্তিশালী করতে চান? তাহলে এর মাঝখানের কয়েকটি অক্ষর বড় হাতের করে দিন। আমি h ও m বড় হাতের করে দিলাম। তাহলে পাসওয়ার্ডটি এখন হলো rakrasMiHar1983 । এটিকে আরও শক্তিশালী করতে এর মাঝখানের i এর বদলে আপনি ! (আশ্চর্যবোধক চিহ্ণ) ব্যাবহার করতে পারেন। তাহলে এখন পাসওয়ার্ডটি দেখুনঃ rakrasM!Har1983 । পাসওয়ার্ডটি এখন অনেক শক্তিশালী। সহজে ব্রেক করা সম্ভব না। 

আসলে প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই একই পাসওয়ার্ড অনেক যায়গায় দিয়ে থাকি। আপনি যদি পাসওয়ার্ড সবসময় ভুলে যান তাহলে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যাবহার করতে পারেন। অথবা আপনি আপনার পাসওয়ার্ডগুলো একটি এক্সেল ডকুমেন্টে লিখে সেভ করতে পারেন। আর হ্যা এক্সেল ফাইলটিও অব্শ্যই একটি পাসওয়ার্ড দ্বাড়া সুরক্ষিত রাখবেন।